গত কয়েকদিন হলো খবর পাচ্ছি, একদল ভিজিটর রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খগড়াছড়ি জেলা সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সিসি সমূহ ভিজিট করছেন। তারা সিএইচসিপিদের বাসায় তিন বেলা খাচ্ছেন, তাদের ফোন করে করে অতিষ্ঠ করে তুলছেন, বিভিন্ন খাতা পত্র দেখছেন সবশেষে টাকা চাইছেন।
আপনাদের অবগতির জন্য বলছি, এধরণের যেকোন ভিজিট বা অডিট অবশ্যই প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে হবে। এবং অতি অবশ্যই স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন সেটা জানবে। উল্লেখ্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে এর আগে একটি গোপনীয় মূল্যায়ন হয়েছিলো যা সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রথমত, সিএইচসিপিদের বেতন ছাড়া কোন আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় তারা কোন আর্থিক অডিটের ( Financial Audit) আওতায় পড়বে না।এ ধরণের অডিট উপজেলা পর্যায়ে হবে, বড়জোড় সরবরাহ বা চালান কিংবা মজুদ দেখার জন্য কেউ সিসি পর্যায়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, আপনাদের পারফমেন্স অডিট হতে পারে, যেখানে আপনাদের সিসি সমূহ পরিচালনার বিভিন্ন দিক দেখা হতে পারে। যদিও সেধরনের কোন অডিট এখন পর্যন্ত হয়নি।
তৃতীয়ত, প্রথম সারির সুপারভাইজার (এইচ আই, এএইচআই ইত্যাদি), উপজেলা, জেলা, বিভাগ কিংবা জাতীয় পর্যায়ের কোন সুপারভাইজার আপনার সিসি ভিজিট করতে পারেন। যা প্রশাসনিক অথবা টেকনিক্যাল সুপারভিশন। এবং আপনাদের জানা থাকা জরুরী যে, এই মনিটরিং ও সুপারভিশন হবে র্যানডম। এই পরিদর্শন বা সুপারভিশনের উদ্দেশ্য হবে আপনাকে সহায়তা করা, আপনার দূর্বলতাগুলো চিহিৃত করে তা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা দিকনির্দেশনা তারা দিবেন।
উপরে উল্লেখিত অডিটর, সুপারভাইজার, মনিটর, বা জাতীয় পর্যায়ের রিসোর্স পার্সন সবাই তার ভিজিটের ফলাফল আপনার পরিদর্শন বইতে লিখবে (ফিডব্যাক দিবে) এবং ফলো আপ করবে।
এবার আসি টাকা চাওয়া ভিজিটর বা অডিটর প্রসঙ্গে, আপনার নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, কমিউনিটি ক্লিনকেকে ঘিরে একধরণের প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে। ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ, কমিউনিটি ক্লিনিকে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগসহ নানা রকম জালিয়াতি চাকরির বিজ্ঞাপন বিভন্ন পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।
যাহোক যে কারনে লিখতে বসছি তা বলি, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিএইচসিপিরা ফোন দিচ্ছে, যে ডিজি হেলথ খেকে ভিজিটর এসেছে। তার সিসি ভিজিট করছে কিন্তু পরিদর্শন খাতায় কিছু লিখছে না। প্রতি ওয়াক্তে কোন না কোন সিএইচসিপির বাসায় খাওয়া দাওয়া করছে। এক সিএইচসিপির কাছ থেকে আরেক সিএইচসিপি’র খবর নিচ্ছে, তারপর সেখানে যাচ্ছে। দিন রাত সকাল বিকাল সেই সিএইচসিপিকে ফোন দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে এবং নিদ্দিষ্ট পরিমান টাকা চাচ্ছে। তারা ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর দিচ্ছে এবং টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। ভুক্তভোগী 3 জন সিএইচসিপি’র সাথে আজকে কথা হলো। তারা যারপরনাই ভীত, বিষয়টি তারা তাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছে। আমি আজ সকালে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন স্যারের সাথে কথা বলেছি। উনি সবাইকে সর্তক করে দেওয়ার কথা বলেছেন।
আমি সেই ভিজিটরদের একজনের (https://www.facebook.com/sohel.ahmed.505960)(দুই জনের ছবি দিলাম যাদেরকে ঐ সিএইচসিপিরা শনাক্ত করেছে) মোবাইল নম্বর পেলাম যার নাম সোহেল আহমেদ, মোবাইলঃ 01639196290, কল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলছি বলতেই কেটে দিল আর ধরল না। যে বিকাশ নম্বর টি সে সিএইচসিপিকে দিয়েছে তাহলোঃ 01714882489
যারা ঠকেছেন তারা এ থেকে শিক্ষা নেন, অন্যদেরকে জানান। কোন অস্বাভাবিক কিছু দেখলে বা মুখোমুখি হলে তা সবার নজরে আনুন।
আপনাদের প্রতি নির্দেশনা হচ্ছে কোন ভিজিটর গেলে আবশ্যই তা উপজেলাতে যাচাই করে নিবেন। প্রয়োজনে প্রধান কার্যালয়ে জানান। আর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ কোন প্রক্রিয়াতে হয় তা আপনারা ভালো করেই জানেন, এই ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হতে মানুষকে সতর্ক করুন।
আর টাকা চাওয়া পার্টি গেলে সোজা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে, মনে থাকবে??
লাইক এবং শেয়ার করে সিএইচসিপদের মাঝে বার্তাটি ছড়িয়ে দিন।।
খবর বিভাগঃ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সিএইচসিপি

0 এর মন্তব্য: