
Sharmin Sultana
ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক রোহিঙ্গার চোখবেয়ে অঝোর ধারায় পানি পড়ছে। তা দেখে একজন জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কাঁদছেন কেন? আপনি কি ত্রাণ পান নি?”
.
উত্তরে লোকটি বললো, “আমি ত্রাণের জন্য কাদঁছি না। আমি কাদঁছি কারণ গতকাল আমিও একইভাবে অন্যকে ত্রাণ দিয়েছি। আজ আমি নিজেই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমি মায়ানমারের এক এলাকার চেয়ারম্যান ছিলাম।”
.
কি হৃদয় বিদারক এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ঘটনা, একটু উপলব্ধি করুন। একই সংকট আমাদের ঘরের দরজায়ও কড়া নাড়া শুরু করেছে। এখনও যদি আমরা এই ভয়াবহ ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন না করি, তবে কাল আমাদের কৃতকর্মের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি স্বরূপ ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতেই হবে, মুক্তি নাই।
.
আজ আমরা যেমন রোহিঙ্গাদেরকে ত্রাণের পোটলা, পুরানো কাপড় ছুঁড়ে মারছি, তেমনি আমাদের মুখের উপরও অন্যরা ত্রাণের পোটলা ছুঁড়ে মারবে। আমরা যেভাবে ত্রাণ বিতরণের ছবি গর্বভরে ফেসবুকে আপলোড দেই, তখন অন্যরাও তাই করবে।
.
এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদেরকে বাচাঁতে হলে, অন্য দেশের শরণার্থী না হতে চাইলে একটাই মাত্র পথ খোলা আছে। তা হলো যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ইস্পাতসম ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে আমরাই হবো পরাশক্তি, ইনশাল্লাহ।
খবর বিভাগঃ
প্রথম পাতা