
ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার হাটবাজারে অস্বাভাবিক হারে তরিতরকারীরর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন শ্রেণীর আয়ের মানুষ গুলো দিনদিন হিমশিম খাচ্ছে। ফলে অনেকে তরিতরকারী বিহীন খাবার থেতে বাধ্য হচ্ছে। গতকাল দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ ও বিষয়খালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল ১৯০/২০০ টাকা, পটল ৫০/৫৫, ঝিঙ্গে ৩০/৩৫ পুইশাক ২০/২৫, গোল আলু ২৫/৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০/৩৫, আমড়া ৩০/৩৫, ঢ্যাড়স ৩০/৩৫, কাঁচকলা ২০/২৫, কচু ৩০/৩৫, কচুর লতি ৩০/৩৫, করলা ৫০/৬০, পিয়াঁজ ৪০/৫০, রসুন ২০০/২১০, মুসুরির ডাল ১০০, লালশাক আঁটি ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যান চালক মতিয়ার রহমান জানান বর্ষা মৌসুমে ভানে ভাড়া কম হয়। কারণ, এই সময়ে যাত্রীরা ভ্যানে চড়তে চায়না। এদিকে দিন পার হলে মালিকের হাতে টাকা তুলে দিতে হয় । কোন দিন ১০০ থেকে ২০০ টাকার মত রোজগার করছি । কিন্তু কাঁচা বাজারে গলে তরিতরকারী কিনতে সব টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মত গরীব মানুষগের হিমশিম থেকে হচ্ছে। ঝিনাইদহ বাজারের বাঁচা মাল বিত্রেতা সাকিল জানান, বর্ষা মৌসুমে আমরা বেশি দামে তরিতরকারী ক্রয় করছি । সে কারণে আমরা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তারা আরও জানায় আমরা যখন যে দামে কিনতে পারছি তখন সেই দাকেম বিক্রি করছি। ঝিনাইদহ আরেক কাঁচা মাল ব্যবসায়ী শরীফ জানান, বর্ষা মৌসুমীতে কাঁচামালের ব্যাপক অংশই দেখা যায় যে বৃষ্টির পানিতে নিচু অঞ্চলে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে এসময় বাজারে তরিতরকারীর পরিমাণ খুবই কম থাকে। শীতের মৌসুমী এলেই আবার তরিতরকাীে বাজার গুলো ভরপুর হয়ে উঠে। তারা আরও জানালেন আবহাওয়া যদি কোন প্রকার বিরূপ না হয় তাহলে দ্রুতই বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা যায়।
খবর বিভাগঃ
প্রথম পাতা
0 এর মন্তব্য: