বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

সবলের নিকট দুর্বলের আর্তনাদ নিছক হাসির উদ্রেক হইয়া থাকে, উহা দেখিয়া যাহারা সবলের জন্য ধ্বংস দাবী করিয়া যাইতেছেন মনে প্রাণে, তাহাদের প্রভুর নিকটে, তাহারা নিতান্তই হা-ভাতে মানুষ।

সবলের নিকট দুর্বলের আর্তনাদ নিছক হাসির উদ্রেক হইয়া থাকে, উহা দেখিয়া যাহারা সবলের জন্য ধ্বংস দাবী করিয়া যাইতেছেন মনে প্রাণে, তাহাদের প্রভুর নিকটে, তাহারা নিতান্তই হা-ভাতে মানুষ। যাহাদের একমাত্র সমাধানের স্থান মন্দির গুলো বা মসজিদ গুলো। সেখানে একজন দৈত্যের বাস, যাহার পায়ে তাহারা কপাল ঠোকাইয়া,কালো দাগ ফেলিয়া দিতেছে, নিজেদের স্বার্থোন্মত্তই একমাত্র ধান্দা। এই মানুষ গুলো মানসিক বিকারগ্রস্ত।যাহারা কোটি টাকার কোন বস্তা খোলা অবস্থায় পড়িয়া থাকিতে দেখিলে নিশ্চিত হার্ট ফেল মারিবে অথচ, তাহাদের ঈশ্বরে পূজা বা নামাজের শেষ হইবার পূর্বে, আমীন বলিবার ঠিক আগে, এদিক ওদিক তাকাইয়া ফিস ফিস করিয়া বলিয়া দেয়- যেন কোটি পতি হইয়া মরিতে পারেন। কাহারো অভাবের জন্য কাহারো প্রাচুর্যকে দায়ী করা যাইবে না। ইহাতে নিজের শারীরিক, আর্থিক ঘাটতির চাইতে মানসিক ঘাটতি চোখে পড়িয়া যাইবে বেশি। আর এই কথাটা মানিয়া লইতে যাহাদের ঘোর আপত্তি তাহাদের কাছে প্রশ্ন আপনি কিসের কারণে এমন? নিশ্চিতভাবেই আপনি সত্য, ভাল মানুষ বা শঠতা-কারী নহে, এখন কথা দাঁড়াইল- আপনি যদি আপনার নিজের বিবেকের কাছে সত্য থাকিয়া কিছুটা অভাবে ভুগিতে না চাহেন, তাহা হইলে যাহারা চুরি জোচ্চুরি করিয়া অর্থের দিক দিয়া পাহাড় রটিয়া যাইতেছে তাহাদের কে অবহেলা করিয়া বা গালা গাল করিয়া কি আর ফল হইবে। আসিয়া পড়ুন, সকলে ভিক্ষুক হইয়া থাকি বা ঋণ খেলাপিদের গুণগান করিয়া যাই। যাহাতে তাহাদের সাথে লিয়াজু করিয়া কোনমতে নিজের কিছু উপকার হয়। যদিও বিভ্রাট হইল- এই কাজে নিজেকে মারিয়া ফেলিতে হইবে সকলের আগে। তাই আত্ম হত্যার আয়োজন আগে হউক, পরে দেখা যাইবে কি করিয়া কি করা যায়। বলুন রাজি.......................

শেয়ার করুন